🌧️⛈️ ভাবছিলাম দিনটা ভালো যাবে 🙂🥀
ফুরফুরা মন নিয়া রাকিব ভাইয়ের লইয়া বাড়ি থেইকা বের হইলাম।
মনের আনন্দে গপ্পো-সপ্পো করতে করতে যাইলাম🙃🥀
ফুরফুরা মেজারের মধ্যে আসল ইন্টারনেট লাইন নাই📶🚫
সব অফ ⚠️
লাইন চলে না 🤖
মনের শান্তি অশান্তি লাইগা গেল 🌛
এরপর সিমের নেট দিয়া লাইন চ্যাক করলাম।
সবকিছু ঠিকঠাক আছে।
কতক্ষণ কাও মাও করে বুঝাইলাম সবকিছু সব ঠিক লাগাইল, লাইন চালু হইল 🙂
এরপর যাক একটু মনের শান্তি আবার ফেরে আইল 😀
এরপর ১ম ছবিটা উঠাই🤩
তো লোকডারে চেনাচেনা লাগল, জিগাইলাম, "কাকু কই যাইবেন?"
বলল, "হাটুর চিকিৎসার জন্য যাইতেছে ঢাকায়"
এরপর একটু চিল মুড নিয়া ট্রেনের অপেক্ষায় রহিলাম😀
ট্রেন আইল দুলাভাইয়ের লগে ট্রেনে উঠলাম।
ট্রেনের ভেতরে কিছু দারুণ মুহূর্তের সাথে নিজেকে অন্যভাবে উপভোগ করলাম 🤭
তো প্রথমে সিট খুইজা পাই নাই, পরে যাও পাইছি সিটের মধ্যে মহিলো অনেক ভীড়, এম্নেতেও আমি মহিলাগো থেইকা এম্নেই দূরে থাকি। 🚶🏻♂️
যাক আমি আর সিটে বসলাম না, এরপর দাড়াইয়া দাড়াইয়া ২ টা লোকের লগে আলাপ গপ্পে পরিচয় হইল, এক লোক একদম সোজাসাপটা মানুষ চেহেরায় বাংলার সেই আগেকার দিনের সোজাসাপটা মানুষের মত সাদাসিধা।
লোকটা আমারে দেইখা বলতেছে, "আমহে কই চাকরি করেন?"
আমি কইলাম, "আমি চাকরি করি না" লোকটা আমার দিকে তাকাইয়া সাদাসিধে হাসি দিয়া কইল, "আপনারে দেইখা স্যার মনে হয়, আমি ভাবছিলাম আপনে মাস্টারি করেন '।
লোকটার কথা শুনে আমি খানিকটা মুচকি হাসি দিলাম 🤭
আমাদের দেইখা কি মাস্টার মনে হয়?
আরে না, আমি মাস্টারি করি না, আমি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ি, ইন্টার্নিশিপ এর কাগজ জমা দিতে যাইতেছি ঢাকায়।
এরপর আরে লোক সামনে দাঁড়ানো মাথায় মোটামুটি চুল নাই, ঘামতেছে।
লোকটারে কইলাম গরম অনেক না!
আপনারে কেমন জানি চিনা চিনা মনে হ, এরপর লোকটার সাথে একটু কথাবার্তা হইল বাড়ি কই এ-সব।
তো মাথার উপ্রে ফ্যান ছিল ওইটা কইলাম ঘুইরা মাথার উপ্রে দিতে।
পরে এদিক ফ্যান ঘুরাইয়া দিল, একটু শান্তির বাতাস 💨
এরপর আবার, ওই আগের লোকটার সাথে আমি ওনাকে জিজ্ঞাস করলাম, আপনে কই যাইতেছেন? গার্মেন্টস এ চাকরি করেন নাকি?
ওনি কইল, ভাইয়ের বাসায় যাইতাছি।
ভাই অনেকদিনরাগ কইরা বাড়ি ছাইড়া ঢাকা গেছে গা এখন আর বাড়িতে আইয়ে না।
আমিই যাই মাঝে মাঝে গিয়া দেইখা আয়।
এরপর
জিগাইলাম ভাই কি করে?
কইল কি জানি চাকরি করে, আরো কইল ভাই ২০ বছর হইছে প্রায় বাড়িতে ঝগড়া করে ওই যে গেছিন আর বাড়িতে যা না।
আমি পরে জিজ্ঞাস করলাম, আপনার আব্বা-আম্মা আছেন?
কইল, নাই।
এরপর কইলাম আচ্ছা ভাইয়ের বাসাত যাইতেছেন কি নিয়া যাইতেছেন?
কইল হেন গিয়া কিনে নিয়া যাইয়াম।
আমি কইলাম গ্রাম থেইকা কিছু নিয়া যাইতেন খেতের আনাস তরকারি।
ওনি কইল নিলে, এইতা হেরা খা না।
আমি কইলাম, আসলেই এখন গ্রামের জিনিস শহরেও ত পাওয়া যা, রাস্তা-ঘাট ভালইছে।।
লোটা হাসিমাখা মোখে কইল, হ এহন ত সবই পাওয়া যা শহরে,
(ভীড়ের জন্য লোকটার সাথে ছবি তুলি নাই)
এরপর দুলাভাই ডাক দিল ❝জাহিদ❞ মাথায় চুল নাই লোক্টা আমারে জিগাইল, "তুমার নাম কি জাহিদ❞
আমি: হুম
দুলাভাই ওইখানে মহিলাগো ভীড় থেইকা সিট বাহির করে ডাক দিল।
ত আনি যাই নাই তখন, এরপর এম্নেই যাইতে থাকলাম, ট্রেন ক্রসিং এ পরল।
ট্রেন ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া যাইতেছে লাগে, এরপর বন্ধুর সাথে ফোনে ইন্টার্নশিপ এর কগজের জন্য স্যারের সাথে আলাপ করতে বললাম।
বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। এরপর
এভাবে ই চলতে থাকলাম চুপচাপ বসে বসে😶
কিছুক্ষণ পর ট্রেন থেকে তেজগাঁও জংশন এ নামলাম,
বৃষ্টি ⛈️🌧️
প্রচুর বর্জপাত সহ বৃষ্টি ⛈️🌧️
বৃষ্টিতে ভীজেই হেটে গেলাম,
এরপর রিকশায় উঠলাম।
আমি ভীজে গেছি, আমার ব্যাগ ভিজে গেছে।
এরপর ফার্মগেট থেকে বিআরটিএ এর বাসে উঠলাম।
সেখানে বহুত জ্যাম 🚫😴
অনেক্ষণ অপেক্ষার পর জ্যামে থেকে নেমে হেড অফিসে গেলাম।
কাগজ জমা দিয়ে চলে আসলাম।
বাড়ির উদ্দেশ্য আবার রোওনা হলাম 🚶🏻♂🚌🚍
বাস থেকে নেমে দুপরে ২ টা রুটি আর সমসা খাইলাম 🫓
আবারো তেজগাঁও এর উদ্দেশ্যে গেলাম।
এরপর ২ থেকে শেষ পর্যন্ত ছবিগুলা উঠাইলাম।📸📸📷
টেনের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম 😑
আবারো ইন্টারনেট এর লাইন থেকে কল শুরু, ভাই এই আইপি দেইখা দেন, ওই লাইনের বল কেম্নে করে, হ্যান ত্যান,
এম্নে করে সময় চলে গেল।
এরপর ট্রেন আসল।
সিটে বসে আরামসে মহাখালী আবারো চলে আসলাম।
এটা ছিল জীবনের প্রথম একা একা ট্রেনে ভ্রমণ 🙃
যাই হোক সারাদিনমুটামুটি ভালোই কেটেছিল।
মহাখালী থেকে অটো দিয়া কান্দিপাড়া নেমে দেখি। আমাদের বাড়ির শুভ কাকু, পরে হের সাথে আলাপ করতে করতে চালে আসলাম বাড়িতে।।
এরপর ইন্টারনেট লাইন নিয়া আবার ব্যস্ত হক্যে গেলাম।
এভাবেই আজকের সারাদিন গেল।🥀
সকাল সকাল কার মুখ দেখছিলাম যে আমার সারাদিন এই উল্টাপাল্টা গেল ⛈️🌧️
যাইহোক দিনটা ভালোই কাটছিল 🤩👍🏻
[আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে চাইলে কি হবে, সেই ঘুরে ফিরে আমারে বাড়িতেই নিয়া আসে 🥲😴]
One Day Travel in Lamkain to Dhaka 🥀 Dhaka to Lamakin 🥀
#beingjahidulhassan
#travel
#travelblog
#travelblogger