সমটা ছিল ১ লা আগষ্ট।
পলিটেকনিক এ নতুন এডমিশন এর অরিয়েন্টেশন ক্লাস।
সেটা ছিল কিশোরগঞ্জে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর অডিটোরিয়াম রুমে।
প্রথম দিন সব কিছুই নতুন, পুরানো সব বন্ধুগুলোকে ছেড়ে এক নতুন যায়গায় নতুন গন্তব্যের উদ্দেশে আসা।
অরিয়েন্টেশন চলাকালীন আমি সবার পিছনে আমার বন্ধু ফাহিমকে ( Kawser Ahmed Fahim) খুজতেছিলাম, সে আমার স্কুলের, এক সাথে ছোট থেকেও পড়াশোনা করেছি, ভর্তির চান্স ও একই ইন্সটিটিউট এ কিন্ত ভিন্ন সিফটে।
তো আমি নতুন তো এজন্য জানি ২ শিফটের অরিয়েন্টেশন ২ বেলায় হবে।
তো খোজাখুজির এক পর্যায়ে পরিচয় হল দেলোয়ারে সাথে Md Delwar Hossain, এর পর Kawsar Hasan, (বর্তমান সেনাবাহিনীতে কর্মরত) এরপর Md. Imam Hossain, এভাবে ওদের সাথেই প্রথম দেখা🫂🥰
তারপর দুতলা থেকে নিচ তলায় নামলাম।
এর অনেকেই অনেক ভাষণ দিল।
তো ভাবলাম পরিবেশটা সুন্দর, মুটামুটি ভালোই লাগল।
তো হুট করে কিছুক্ষণ পর পর আমার ভাই, তুমার ভাই স্লোগান আসতে থাকল।
তো ভাবলাম সরকারি প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও আছো ব্যপকভাবে।
এরপর একজন ভাষ্ণ দিলেন নামটা সঠিক মনে নেই, নতুন কেও কাওরে চিনি না।
ভাষণ দিলেন, ❝দেইখো তুমরা পলিটেকনিক এ ভর্তি হইছো, পাশেই কিন্তু হামিদ মেডিক্যাল, কেও কিন্ত আবার ওইদিকে মেয়েদের ডিস্টার্ব কইর না। পড়াশোনা করতে আসছো ভালো করে পড়াশোনা কর। নয়ত পাশেই কিন্ত করিমগঞ্জ থানা।)
এরকমই কিছু একটা বলছিল, তখন একটু হাশি পাইছিল, এজন্য সবাই হাল্কা করে হেসেই দিছিল ত এজন্য ফোল ভয়েস এত্তবছর পর সরণ নেই।
যাক পরের স্টেপ এ আসি।
এরপর মোটামুটি সবাই এক এক করে বক্তব্য দিল।
এইদিকে বক্তব্যের মাঝে একটু বের হয়েছিলাম, অডিটোরিয়াম এর সামনে একদল বড়ভাইয়েরা বসেছিল। ভোট নিচ্ছিল নিজ নিজ ডিপার্টমেন্ট সম্পর্কে।
এটায় পড়লে কি হবে, এটায় পড়াতে আপনার সন্তানকে কেমন উৎসাহিত করবেন এমনই কিছু।
এরকিছুক্ষণ পর আশেপাশে তাকাই কিন্তু সুন্দরী মাইয়্যা খুইজা পাই না 😶😑
অবশেষে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত হুল আর বল্ল ডিপার্টমেন্ট এর স্যারের সাথে সাথে যেতে।
তো ১০৫ এ নিয়ে গেল আমাদের।
স্যারের পিছন পিছন গেলাম।
সবাই সবার পরিচয় দিল।
স্যার ও নিজের পরিচয় দিল, স্যার ছিলেন হামিদুর স্যার।
এরপর আরেকজন স্যার আসল, আমাদের তখনকার ডিপার্টমেন্ট এর প্রধান আব্দুল বাতেন।
স্যার নিজের পরিচয় দিল, আমাদের পরিচয় নিল।
স্যার বলল, এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ, টেকনোলজির যুক, শিল্প বিপ্লবের যুগ।
AI Technology সম্পর্কে কেও জান?
এটা সম্পর্কে ধারনা আছে?
Ai মানে Artificial intelligence.
স্যার বলল, ❝যার কাছে যত বেশি তথ্য আছে সে তত বেশি শক্তিশালী ❞
এখন আর মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে মারামারি করে না, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো এখন এই তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।
এরপর অনেককিছুই মনে নেই আমার।
এরপর বড় ভাইয়েরা এক এক করে ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপে আসল।
পরিচয় পর্ব এক এক করে চলতেই থাকল।
এসব দেখে আমার ভেতর ভেতর রাগ হল 🙂
সালাম চাহিয়া নেওয়ার জিনিস না, এটাও চাহিয়া নিল।
এরপর মন থেকে চাইলাম এ সিস্টেম চেঞ্জ করে আসব।
হয়ত এখন তেমব র্যাগিং নেই, যেমনটা আমাদের সনয় ছিল।
যাক এ পর্ব বাদ দিলাম।
এরপর সালাম এবং হাতার বুলতাম লাগিয়ে ভদ্রভেসে এভাবে চলতে থাকল।
একদিন আসার সময় আমি, মাহিন Main Khan Mahi, কাওসার আরো ছিল কয়েজন।
এক সাথে ক্লাস শেষে বাসায় যাচ্ছি, মাহিন জিগাইল তর বাড়ি যানি কোম্মে, ❝কাওসার কইপ গফরগাও, কাওসার জিগাইল তরটা কোন জায়গায়? মাহিন কইল, "নেত্রকোনা কেন্দুয়া " মাহিন কইল গফরগাঁওয়ের মান্সের সাথে আম্মা না করছে মিশতে, ওরা নাকি অনেক ডাকাত 🙂😑❞
আমি কইলাম আমাদের দেইখা কি ডাকার মনে হ?
কাওসার কইল তরে কি মারছি নাকি তর লগে খারাও আচরণ করচজি।
যাকগা আমরা এক সাথে পড়তে আসছি।
বব্ধুর মত থাকুম।
এইনের কাহিনি খতম।
এরপর Minhaj Shifat, মিনহাজ স্যারের সাথে ম্যাথ ক্লসে দেখে।।
কেও একজন কিজানি একটা বিষয় নিয়া বলল, ও বিড়াল পালে স্যার, স্যার মিহা করে বলল, আচ্ছা দাড়াও, বিড়ালের মত একটু শব্দ করে দেখাও।
এভাবে চলতে থাকল নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে চলা।
এরপর ম্যাথ মাথায় তেমন ডুকে না, পাইলাম মিডটার্মে ৯ বা ৬ এরকম এই হবে।
এরপর গ্যাঞ্জাম এই সেই নিয়া প্রথম সেমিস্টার শেষ হইল।
করোনা চলে আসল।
সময় বিদ্যুৎতের ন্যায় চলে গেল।
এভাবে এক এক করে আগামী ১-ই আগষ্ট আমাদের ডিপ্লোমা লাইফের ৭ ম পর্বের লিখিত পরিক্ষার ইতি ঘটল।
এর মাঝে আরো কত কিছু ঘটে গেছে।।
আতাউর স্যার অনেক কিছুতেই ভালো পরামর্শ এবং নিজের মত স্নেহ করে আমাকে অধ্যায় বুঝিয়েছেন।
হামিদুর স্যার যেকোনো কাজে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
এরপর লাস্ট সেমিস্টারে এসে নতুন শিক্ষক জাহিদুল হাসান স্যার আমার মিতা, ওনার সাথেও ভালো একটা মানষিকতা তৈরি হয়।
নতুন সিআই স্যারের সাথে পরিচয় তিনিও অত্যন্ত ভালো এবং রসিক মানুষ।
সবসময় দেখা হলে আমার নাম দরে ডাকেন, দেখা হলে মনে হয় যেভাবে ডাকেন হয়ত বহুদিনের পরিচিত 🥀
এভাবেই অসম্পূর্ণভাবে অনানুষ্ঠানিক আমাদের ডিপ্লোমা পর্বের ইতি ঘটে।
তবে ডিপ্লোমা লাইফে উজ্জ্বল হাসিমাখা এই মুখ চিত্র সব সময় চোখে বেসে থাকবে 🙂
© Jahidul Hassan,
#Beingjahidulhassan
#EndOfDiploma
#Diploma
#engineering
#Engineer
#technical